বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ অপরাহ্ন
আতিকুর রহমান সুমন::
সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের হালুয়ারঘাট টু নারায়নতলা এর সংকীর্ণ রাস্তায় ভারী প্রশস্থ মালবাহী গাড়ির মাধ্যমে মাত্র দুদিনের ব্যাবধানে মর্মান্তিক চারটি সড়ক দুর্ঘটনা হয়। গত ৩ ফেব্রুয়ারি উক্ত ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের সুলতান মিয়ার স্ত্রী রাস্তায় বেপরোয়া চলন্ত ভারী পিকআপের মাধ্যমে পায়ে গুরুতর আঘাত পান। দুর্ঘটনার ফলে উনার পায়ের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দ্রুত তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একই দিনে মঙ্গলকাটার চাকুরীজিবি মো: মনির হোসেন ছুটি শেষে তার কর্মস্তলে যাবার সময় পিকআপের ধাক্কায় পায়ে গুরুতর জখম হয়। তার আগের দিন জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের এক মহিলার বাড়ির পাশে পিকআপ পড়ে যায় এতে উনার জানমালের ক্ষতিসাধন হয়। একদিন যেতে না যেতেই ৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের আরেক ব্যক্তি আব্দুল হান্নানের স্ত্রী সাবিনা আকতার পিকআপের মাধ্যমে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। দুর্ঘটনার ফলে পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। উল্লেখ্য এলাকায় মাত্র ১০ ফুটের প্রশস্ত এক রাস্তায় ৬ ফুট প্রশস্ত ভারী পিকআপ দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করছে। সংকীর্ণ রাস্তায় এমন গাড়ি চলাচলের জন্য এলাকার সকলে বিপাকে পরছেন। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে এলাকাবাসী । এ বিষয়ে এলাকার প্রবীণ মুরুব্বী বীর মুক্তিযোদ্ধা হাছেন আলীর কাছে জানতে চাইলে উনি বলেন ‘প্ৰতিনিয়ত আমাদের ছেলেমেয়ে বাইরে বের হলে চিন্তায় থাকি আমরা কেননা আমাদের এলাকায় ভারী পিকআপের জন্য খুবই দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে উঠছে আমাদের এলাকা’। নিয়মানুযায়ী এরকম রাস্তায় প্রশস্ত যানবাহন না চালানোর নিয়ম না থাকলেও নিয়মের তোয়াক্কা না করেই অবাধে চলছে পিক আপ গুলো। এতে করে ক্রমেই দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হয়ে উঠছে। এব্যাপারে পথচারী মো বিল্লাল হোসেন জানান ‘ প্রশাসন অতিদ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে দেখা যাবে প্রতিদিন কয়েকটি মৃত্যুর সংবাদ আমাদের শুনতে হবে এবং স্বজনহারা কান্নার আওয়াজে এলাকার বাতাস বইতেই থাকবে।